র‌্যাবের সঙ্গে ‘গুলাগুলিতে’ নিহত ৭ ডাকাতের মধ্যে ৪ জনের পরিচয় শনাক্ত

সাইফুল ইসলাম, কক্সবাজার জার্নাল ◑
কক্সবাজারের টেকনাফের জাদিমোড়া পাহাড়ে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৭ রোহিঙ্গা ডাকাতের মধ্যে ৪ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে।

তারা হলেন- টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোড়া ও শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফারুক (৩০), মোহাম্মদ আলী (২৫), নুর হোসেন ওরফে নুরাইয়া, (৩২) ও ইমরান (৩২)। বাকি ৩ জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৩টি বিদেশী পিস্তল, ৭টি ওয়ানশুটারগান, ১২ রাউন্ড তাজা কাতুজ এবং ১৩ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (২ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর কক্সবাজারস্থ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে নিহত ৭ রোহিঙ্গা ডাকাতের মধ্যে ৪ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ ।

কমান্ডার আজিম আহমেদ আরও জানান, নিহতরা সবাই শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত জকির গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। এই ডাকাত গ্রুপকে ধরার জন্য র‌্যাব-১৫ দীর্ঘদিন যাবৎ কঠোর পরিশ্রম করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২ মার্চ গভীর রাতে টেকনাফ জাদিমোড়াস্থ মোচনীয় গভীর পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে জকির ডাকাতের আস্তানার সন্ধান পায়। সন্ধান পাওয়া মাত্রই র‌্যাব ফোর্স উক্ত আস্তানা ঘিরে ফেলে। প্রথমেই ডাকাতকে মাইকযোগে আত্মসর্মপনের অনুরোধ করে।

ডাকাত গ্রুপ র‌্যাব ফোর্সের কথা শুনলে র‌্যাব ফোর্সকে উদ্দেশ্য করে এলোপাতাড়িভাবে গুলি চালায়। নিজের জীবন ও সরকারী সম্পদ রক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়ে র‌্যাব। উভয় পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে ৪ ঘন্টা বন্দুক যুদ্ধ হয়। পরবর্তীতে গোলাগুলি থামলে র‌্যাব ফোর্সেস উক্ত আস্তানা থেকে অস্ত্রসহ ৭টি মরদেহ দেখতে পায়।

তিনি আরো জানান, টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড় গুলোতে লুকিয়ে থাকা শীর্ষ ডাকাত গ্রুপের সদস্যদের নির্মূল করার জন্য র‌্যাবের চলমান এই সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।